বৃহস্পতিবার, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ১১:৩৬ পূর্বাহ্ন
আমার সুরমা ডটকম ডেস্ক:
শক্তিশালী ভূমিকম্পে ক্যারিবীয় অঞ্চলের দ্বীপদেশ হাইতিতে এখন পর্যন্ত ১ হাজার ২৯৭ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। আহত হয়েছে অন্তত পাঁচ হাজার ৭০০ জন। এখনো নিখোঁজ অসংখ্য মানুষ। দেশটির সিভিল প্রটেকশন এজেন্সি গতকাল রোববার এ তথ্য জানিয়েছে। খবর রয়টার্স ও এএফপির।
উদ্ধারকারীরা ধ্বংসস্তূপের মধ্যে জীবিতদের খোঁজার চেষ্টা করছে এবং তাদের উদ্ধারে তৎপরতা চালাচ্ছেন। হাইতির কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে সংবাদমাধ্যম বিবিসি এ খবর জানিয়েছে।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, স্থানীয় সময় গত শনিবার সকালে হাইতির দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে ৭ দশমিক ২ মাত্রার ভূমিকম্প হয়। শক্তিশালী ভূমিকম্পে বাড়িঘর, গির্জা, বিদ্যালয়সহ বিভিন্ন স্থাপনা ধ্বংস হয়েছে। বেশকিছু হাসপাতাল আহতদের চিকিৎসা দেওয়ার মতো অবস্থায় নেই এবং তাদের প্রয়োজনীয় উপকরণ ফুরিয়ে গেছে।
ভূমিকম্পে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে হাইতির দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চল, বিশেষ করে লাস কায়েস শহরের আশপাশ।
হাইতির নাগরিক সুরক্ষা সংস্থার প্রধান জেরি শ্যান্ডলার গতকাল রোববার বলেছেন, লাস কায়েস যে দক্ষিণ বিভাগে, সেখানে প্রায় দেড় হাজার বাড়িঘর সম্পূর্ণ ধ্বংস হয়ে গেছে এবং ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে আরও তিন হাজার বাড়িঘর।
জেরি শ্যান্ডলার বলেন, ‘নিপেসে (বিভাগ) ৮৯৯টি বাড়ি ধ্বংস হয়েছে এবং ৭২৩টি বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এ ছাড়া গ্র্যান্ড’অ্যান্স বিভাগে ৪৬৯টি ঘর ধ্বংস হয়েছে এবং এক হাজার ৬৮৭টি বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।’
জেরি শ্যান্ডলার সতর্ক করে জানান, ট্রপিক্যাল ঝড় ‘গ্রেস’ হাইতির দিকে ধেয়ে আসছে। যার প্রভাবে সামনের দিনগুলোতে ‘পরিস্থিতি আরও খারাপ হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে’।
যুক্তরাষ্ট্রের ভূতাত্বিক জরিপ সংস্থা (ইউএসজিএস) জানিয়েছে, হাইতির সেন্ট লুইস দু সুদ শহরের ১২ কিলোমিটার দূরে ভূপৃষ্ঠের ১০ কিলোমিটার গভীরে ভূমিকম্পের উৎপত্তি। জায়গাটি রাজধানী পোর্ট-অ-প্রিন্স থেকে ১৫০ কিলোমিটার পশ্চিমে। পোর্ট-অ-প্রিন্সেও কম্পন অনুভূত হয়েছে। প্রতিবেশী দেশগুলোতেও ভূমিকম্প অনুভূত হয়।
এদিকে হাইতির প্রধানমন্ত্রী অ্যারিয়েল হেনরি দেশটিতে মাসব্যাপী জরুরি অবস্থা ঘোষণা করছেন তিনি।
উল্লেখ্য, ২০১০ সালের শক্তিশালী ভূমিকম্পের ক্ষত এখনো কাটিয়ে উঠতে পারেনি হাইতি। ওই ভূমিকম্পে দুই লাখের বেশি মানুষের মৃত্যু হয়। দেশটির অবকাঠামো ও অর্থনীতি বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়ে। সূত্র : রয়টার্স ও এএফপির।